সবজির সরবরাহ কম, দাম বাড়ে হাতবদলে......
উত্তরবঙ্গের অন্যতম সবজির মোকাম বগুড়ার মহাস্থান। সেখানে পাইকারিতে প্রতি মণ মুলা ১৪০০ থেকে ২০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গতকাল সকাল ে |
কৃষক থেকে ভোক্তা পর্যায়ে সবজির চড়া দামের কারণ সরবরাহ ঘাটতি ও বারবার হাতবদল। উৎপাদন পর্যায়েই এখন সবজির দাম বেশি। ভোক্তা পর্যায়ে পৌঁছাতে সেই দাম কয়েক গুণ বেড়ে যায়।
কৃষক, পাইকারি বিক্রেতা, আড়তদারদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য পাওয়া গেছে। এ ছাড়া সরবরাহব্যবস্থায় কীভাবে দাম বাড়ে, তা দেখতে প্রথম আলোর দুজন প্রতিবেদক যশোর ও বগুড়া থেকে সবজিবাহী দুটি ট্রাকে করে রাজধানীর আড়ত পর্যন্ত এসেছেন।
এদিকে গতকাল সোমবার রাজধানীর দুটি পাইকারি ও তিনটি খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, কয়েক দফা হাতবদলে পাইকারি থেকে খুচরা পর্যায়ে বিভিন্ন ধরনের সবজির দাম কেজিতে সর্বনিম্ন ১৫ থেকে সর্বোচ্চ ৬০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ও কারওয়ান বাজারে পাইকারিতে গতকাল প্রতি কেজি বরবটির দাম ছিল ৮০ থেকে ৯০ টাকা। একই দিন তা মিরপুরের শেওড়াপাড়া ও মোহাম্মদপুর টাউন হল বাজারে খুচরায় বিক্রি হয় ১৫০ টাকায়।
সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, চার দফা হাতবদলে দু-তিনজন মধ্যস্বত্বভোগী যুক্ত হন। প্রতি ধাপে দুই থেকে আট টাকা বা তার বেশিও দাম বাড়ে। যেমন গতকাল যাত্রাবাড়ীর একটি আড়তে প্রতি কেজি বরবটি বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকায়। তিন ঘণ্টার ব্যবধানে সেখানেই তা দুই হাত বদলের পরে ১০০ টাকায় খুচরা বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি হয়।
জানা যায়, উৎপাদন এলাকার মোকাম থেকে রাজধানীতে পণ্য আসার পরও কয়েক দফা হাতবদল হয়। পাইকারি থেকে অন্তত চারবার হাত বদল হয়ে তা ভোক্তার কাছে পৌঁছায়। যেমন ট্রাক থেকে প্রথমে পণ্য যায় আড়তে, সেখানে থেকে পণ্য কেনেন পাইকার বা ফড়িয়ারা। পরে ফড়িয়াদের কাছ থেকে বিভিন্ন খুচরা ব্যবসায়ীরা পণ্য কিনে ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করেন।
সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, চার দফা হাতবদলে দু-তিনজন মধ্যস্বত্বভোগী যুক্ত হন। প্রতি ধাপে দুই থেকে আট টাকা বা তার বেশিও দাম বাড়ে। যেমন গতকাল যাত্রাবাড়ীর একটি আড়তে প্রতি কেজি বরবটি বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকায়। তিন ঘণ্টার ব্যবধানে সেখানেই তা দুই হাত বদলের পরে ১০০ টাকায় খুচরা বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি হয়।
Post a Comment